ধনুষ্টংকার রােগের কি, কেন হয়, লক্ষণ কি, করণীয় কি, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

ধনুষ্টংকার রোগ কি?

রােগী ধনুকের মতাে বেঁকে যায় বলে রােগটার এমন নামকরণ হয়েছে। সামনের দিকেও বাঁকতে পারে, আবার পিছনদিকেও বাঁকতে পারে।

ধনুষ্টংকার রোগ কেন হয়?

  • সাধারণতঃ কোথাও কেটে গেলে বা আঘাত লাগলে এ রােগ হয়।
  • ধনুষ্টংকার রোগের লক্ষণঃ
  • গলায় বেদনা, ঘাড়ের আড়ষ্টতা,
  • আক্ষেপ,
  • চোয়াল বন্ধ হয়ে যাওয়া,
  • একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা এ রােগের লক্ষণ।
  • রােগী কখনও কখনও অচৈতন্য হয়ে পড়ে, দেহ শক্ত হয়ে ওঠে, প্রবল তন্দ্রা-ভাব প্রভৃতিও এ রােগের অন্যান্য লক্ষণ।

ধনুষ্টংকার রোগের করণীয়ঃ

  • লক্ষণ ভালাে করে বুঝে তবে ওষুধ দেওয়া উচিত।
  • রােগীকে তক্তাপােষ বা ঐরূপ কোনাে উঁচু জায়গায় শােয়ানাে ঠিক নয়–পড়ে গেলে বিপদ ঘটতে পারে।
  • রােগীকে হালকা ধরনের তরল খাদ্য পথ্য হিসাবে দিতে হবে।

ধনুষ্টংকার রোগের হোমিওপ্যাথিক ঔষুধঃ

  • সামান্য চাপে যদি বেদনা বােধ হয় তাহলে রােগীকে খাওয়াতে হবে—আর্নিকা ৩।
  • মূছা, দেহ গতক, আক্ষেপ, একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, শরীর পিছনদিকে বেঁকে যাওয়া প্রভৃতি লক্ষণে—সাইকিউটা ভিরােনা ৬।
  • অজ্ঞান অবস্থায় অনেকক্ষণ থাকলে বা তন্দ্রা-ভাব থাকলে—জেলসিমিয়াম ১X—৩।
  • আক্ষেপ প্রবলভাবে হতে। থাকলে—অ্যাসিড-হাইড্রো ৩-৩০।
  • এ রােগের কয়েকটি উৎকৃষ্ট ওষুধ—নাক্সভমিকা ১X, ইনাস্থি ৩X, হাইপেরিকাম ১X, হাইড্রোসিয়ানিক অ্যাসিড ৩, স্ট্রাকনিয়া ৬X। যে-কোনাে একটি ওষুধ ধনুষ্টংকার রােগীকে খাওয়ানাে চলে।
  • একেবারে প্রথম অবস্থায় ভালাে কাজ করে—হাইপেরিকাম ১X। 
শেয়ার করে ভালবাসা দেখান

One Reply to “ধনুষ্টংকার রােগের চিকিৎসা”

Leave a Reply